শিরোনাম
বিশেষ প্রতিনিধি : | ০৯:৪০ পিএম, ২০২৩-১০-০৪
পটিয়া পৌরসভার মেয়র, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব বাবুলের একমাত্র পুত্র আতিক শাহরিয়ার মাহির ২০ তম জন্মবার্ষিকী আজ ৫ অক্টোবর । শিশুকাল থেকে মাহি পিতা মাতার আদর স্নেহে লালিত পালিত হলেও সে সবক্ষেত্রে মেধাবী ছিলেন । একজন ক্ষুদে আবৃত্তিকার ও চারুশিল্পী হিসেবেও সে যথেষ্ট প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
কিন্তু বিগত করোনায় সে টিকা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ১৭ জানুয়ারি ২০২২। তার পিতা পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল সেই থেকে অভিযোগ করে আসছেন, তার মেধাবী ছেলের মৃত্যুর জন্য পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও দায়ী। কারণ তিনি যদি তার অনুরোধ রক্ষা করে সেদিন মাহিকে টিকা দিতেন তাহলে মেয়র আযুব বাবুলকে আজ পুত্র শোকে দিনাতিপাত করতে হতো না। তিনি তার পুত্র হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব, ও স্বাস্থ্যের মহা পরিচালক সহ সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। ফলে এখনো বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে!
আইয়ুব বাবুল একজন দক্ষ শিশু সংগঠক ও রাজনীতিবীদ হওয়ার সুবাদে ছোটকাল থেকেই তার একমাত্র পুত্র আতিক শাহরিয়ার মাহি সাহিত্য ও সংস্কৃতির আবহে বেড়ে উঠে । পটিয়া পৌর সদরের শশাংক মালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েই তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি । পরে পটিয়ার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি এবং পটিয়া সরকারী কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করে। তার স্বপ্ন ছিল সে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। সেখান থেকে প্রশাসন ক্যাডার অথবা লন্ডন থেকে একজন ব্যারিষ্টার হয়ে তার পিতা মাতার আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
কিন্তু করোনার ছোবলে সবার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায় । তার মা চাঁদ সুলতানা একজন
প্রধান শিক্ষক ও বাবা পৌরসভার মেয়র। সেই হিসেবে সাধারণ মানুষের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার কারনে তারা সব সময় করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে ছিলেন। এতে পটিয়ায় করোনার টিকা প্রদান কাজ শুরু হলে পৌর মেয়র তার পরিবারের সদস্যদের টিকা দেওয়ার জন্য টিএসওকে অনুরোধ করে সাড়া পাননি বলে অভিযোগ করে আসছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলে আসছেন আমার ছেলেকে আগে থেকে টিকা দিয়ে দিলে আমাকে আজ পুত্র হারা হতে হতো না। তিনি অশ্রু সজল নয়নে বলেন, আজীবন রাজনীতি করেছি। আমাদের সরকার ক্ষমতায় এরপরও যদি পুত্র হত্যার বিচার না পায় তাহলে আমরা কি করবো, কার কাছে যাবো।
পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল তার অব্যক্ত বেদনা তুলে ধরে বলেন, আমার ছেলে আমার খুবই প্রিয় ছিল। সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ভক্ত ছিলেন। আমার ছেলে আমার খুবই ভক্ত ছিল। আমি নামাজে গেলে মসজিদ থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত সে আমার জুতো গুলো নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো। এ ছাড়া আমার নির্বাচনের সময় সে ভ্যানগাডের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। আমার বাস ভবনের প্রতিটি কক্ষ এবং বালু কণায় আমার সন্তানের স্মৃতি আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়ায়।সন্তানের শোকে পুরো পরিবারে আজ অব্যক্ত হাহাকার, চারদিকে শুধু শূন্যতা আর শূন্যতা।
আমি পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে প্রতিটি দপ্তরে দপ্তরে ঘুরে বেড়িয়েছি। তারা তদন্ত কমিটি করে সব কিছু আইওয়াশ করেছে। এ পর্যন্ত তিন বার তদন্ত হয়েছে। কোন ফল আমাকে জানায়নি। আমি জেনেছি তদন্ত একটি প্রভাবশালী মহল ওলট পালট করে দিচ্ছে। এ যদি হয় আমাদের অবস্থা তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাড়াবো!
মেয়র স্মৃতি হাতড়িয়ে বলেন, তারা আমার ছেলের বয়স কম হওয়ার অজুহাতে টিকা প্রদান করা হয়নি। কিন্তু যখন বয়স ১৮ বছর পার হয় তখন ও তারা টিকা মারেনি। আমাদেরকেও লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা দিতে হয়েছে। আর আমার ছেলেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিকা না দিয়ে পৌর সদর থেকে ১৫ কিঃ মিঃ দূরে জিরি আমানিয়াতে নিয়ে গিয়ে টিকা মারার পরামর্শ দেয়। তখন আমি পটিয়া সরকারী কলেজে কখন টিকা দেবে তা জানতে চাইলে তিনি যে তারিখ উল্লেখ করেন সেই অনুযায়ী আমার ছেলে সেখানে গিয়ে দেখেন সেখানে সেই তারিখে টিকা মারার কার্যক্রমই বন্ধ। আর এ ধরনের তালবাহনা করতে করতেই আমার ছেলে করোনা আক্রান্ত হয়ে যায়। আমি একজন মেয়র হওয়ার পরও এ ধরনের কান্ড আমাকে সত্যিই ব্যাথিত করেছে।
আমি পটিয়ার এমপি হিসেবে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, আমার দলের চট্টগ্রামের রাজনৈতিক দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ স্বপন
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহেদ মালেক , সচিব, মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করে ও কোন প্রতিকার পায়নি। একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট আমার পরিবারকে টিকা প্রদান থেকে বিরত রেখে আমার একমাত্র পুএকে হত্যা করতে প্ররোচিত করেছে।
আমি মন্ত্রীকে টিএইচও, র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললে তিনি বলেন, আপনার এলাকার এমপি প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদায় একজন হুইপ। তিনি তো তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা চান না। আমি কি করব।
এ বিষয়ে আমি হুইপের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তখন হুইপ মহোদয় কে আমি আমার সাথে মন্ত্রীর কাছে যেতে বললে তিনি আমার সাথে মন্ত্রীর কাছে যেতে রাজি হননি।
আমি আমার ছেলের জানাজায় আমার ছেলে হত্যার বিষয় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী সহ সকলের কাছে তুলে ধরে ও কোন প্রতিকার পায়নি। আমি আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত হ্নদয়ে বলতে চাই, পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ভারী বস্তু নাকি পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ। কথাটা আজ আমি বড় বেশী উপলব্ধি করতে পারছি ।
আমি আজীবন রাজনীতি করেছি। অনেক মামলা হামলা নির্যাতন হয়রানির শিকার হয়েছি। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে জীবন যৌবন সব উৎসর্গ করেছি। আজ আমার এ পরিণতি।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলায় নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হোমনা থানা এলাকার বাঘা শরীফ বলী। বৃহ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা অবাধে প্রবেশ করে থাকেন। তবে গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে প...বিস্তারিত
নোয়াখালী প্রতিনিধি : : নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পূর্ব পাশের বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌ-মনি নামে একটি কার্গো জাহাজডুবির ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রমের মধ্যে রাখতে ছুটি আর না বাড়িয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল থেকেই শিক্ষাপ্রত...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির সঙ্গে তাঁর বাসভবনে ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited